Latest topics
আপনি জানেন কি কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক একজন বাঙ্গালী হিন্দু
Page 1 of 1 • Share •
আপনি জানেন কি কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক একজন বাঙ্গালী হিন্দু
আপনি জানেন কি কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক একজন বাঙ্গালী হিন্দু!!!
আজ আমরা জানব কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর সম্পর্কে।সবাইকে শেয়ার করে এই বাঙ্গালির অসাধারণ কীর্তির কথা জানিয়ে দিন।
স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (১৯ ডিসেম্বর ১৮৭৩ - ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) একজন ডাক্তার এবং বৈজ্ঞানিক । তিনি কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেছিলেন ।
•
উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তাঁর পিতা ডাক্তার নীলমনি ব্রহ্মচারী এবং তাঁর মাতা সৌরভ সুন্দরী দেবী ।তাঁর নিবাস ছিল হুগলিরমহেশতলা । উপেন্দ্রনাথ জামালপুরে পূর্ব রেলওয়ের বয়েজ হাই স্কুলে পড়েছিলেন । ১৮৯৩খ্রিস্টাব্দে গণিতে প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএ পাস করেন হুগলি কলেজ থেকে । ১৮৯৪খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে মেডিসিন ও সার্জারিতে প্রথম স্থান নিয়ে এমবি পাস করেন ও গুডিভ ও ম্যাকলাউড পদক পান । ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে এমডি এবং এরপর শরীরতত্ত্বে পিএইচডি উপাধি পান । পিএইচডিতে তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল হিমোলাইসিস (Haemolysis) বা রক্তকণিকার ভেঙে পড়া সংক্রান্ত । এছাড়াও তিনি কোট্স পদক, গ্রিফিথ পুরস্কার ও মিন্টো পদক পান ।
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে প্যাথলজি ও মেটিরিয়া মেডিকার শিক্ষকতা করেন । আইএমএস না হয়েও ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিযুক্ত হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সরকারী কাজ থেকে অবসর নিয়ে কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতা করেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়নেরও অধ্যাপক ছিলেন । ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার এবং রসায়নশাস্ত্র বিষয়ে গবেষণা করেছেন । ১৯২০ সালে উপেন্দ্রনাথ তৈরি করেন ইউরিয়া স্টিবামাইন । ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত হল উপেন্দ্রনাথের আবিষ্কারের কথা । ৮ জন কালাজ্বর রোগীকে সুস্থ করার বিবরণ সহ । তিনি তাঁর গবেষণা পত্রে ওষুধটির বিষাক্ততা সম্পর্কে আলোচনা করলেন ।১৯২৩ সালের জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে ইউরিয়া স্টিবামাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশিত হল । ১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে উপেন্দ্রনাথ আরো কিছু তথ্য প্রকাশ করলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে । কালাজ্বর কমিশন (১৯৩২) এর মেজর শর্টের অভিজ্ঞতায় ইউরিয়া স্টিবামাইন খুব নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য ওষুধ । এই ওষুধ ব্যবহার করে ৩.২৫ লক্ষ রোগীকে সারানো সম্ভব হয়েছে । কালাজ্বর ছাড়াও উপেন্দ্রনাথ ফাইলেরিয়া,ডায়াবেটিস, কুষ্ঠ, মেনিনজাইটিস প্রভৃতি নিয়েও গবেষণা করেছিলেন ।
চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্বন্ধে রচনাবলীর মধ্যে ট্রিটিজ অন কালাজ্বর বিখ্যাত । ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভ্য, ইন্দোরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের (১৯৩৬) সভাপতি এবং নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । তিনি ব্রহ্মচারী রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করে দেশী ওষুধ প্রস্তুত করেন ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে গ্রিফিথ মেমোরিয়াল পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল । স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন তাঁকে মিন্টো পদক দিয়েছিল । এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল তাঁকে স্যার উইলিয়াম জোনস পদকে সম্মানিত করেছিল । এছাড়াও তিনি কাইজার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন । ব্রিটিশ সরকার তাঁকে রায়বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেছিল ।১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে উপেন্দ্রনাথ ব্র্হ্মচারী নাইট উপাধি পান । ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল ।
বিজ্ঞানের আলো হাতে চলা এই মহতীকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
আজ আমরা জানব কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারীর সম্পর্কে।সবাইকে শেয়ার করে এই বাঙ্গালির অসাধারণ কীর্তির কথা জানিয়ে দিন।
স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (১৯ ডিসেম্বর ১৮৭৩ - ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪৬) একজন ডাক্তার এবং বৈজ্ঞানিক । তিনি কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেছিলেন ।
•
উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তাঁর পিতা ডাক্তার নীলমনি ব্রহ্মচারী এবং তাঁর মাতা সৌরভ সুন্দরী দেবী ।তাঁর নিবাস ছিল হুগলিরমহেশতলা । উপেন্দ্রনাথ জামালপুরে পূর্ব রেলওয়ের বয়েজ হাই স্কুলে পড়েছিলেন । ১৮৯৩খ্রিস্টাব্দে গণিতে প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএ পাস করেন হুগলি কলেজ থেকে । ১৮৯৪খ্রিস্টাব্দে রসায়নে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে মেডিসিন ও সার্জারিতে প্রথম স্থান নিয়ে এমবি পাস করেন ও গুডিভ ও ম্যাকলাউড পদক পান । ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে এমডি এবং এরপর শরীরতত্ত্বে পিএইচডি উপাধি পান । পিএইচডিতে তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল হিমোলাইসিস (Haemolysis) বা রক্তকণিকার ভেঙে পড়া সংক্রান্ত । এছাড়াও তিনি কোট্স পদক, গ্রিফিথ পুরস্কার ও মিন্টো পদক পান ।
১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল স্কুলে প্যাথলজি ও মেটিরিয়া মেডিকার শিক্ষকতা করেন । আইএমএস না হয়েও ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অতিরিক্ত চিকিৎসক নিযুক্ত হন । ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সরকারী কাজ থেকে অবসর নিয়ে কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে শিক্ষকতা করেন । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়নেরও অধ্যাপক ছিলেন । ম্যালেরিয়া, ব্ল্যাকওয়াটার ফিভার এবং রসায়নশাস্ত্র বিষয়ে গবেষণা করেছেন । ১৯২০ সালে উপেন্দ্রনাথ তৈরি করেন ইউরিয়া স্টিবামাইন । ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে প্রকাশিত হল উপেন্দ্রনাথের আবিষ্কারের কথা । ৮ জন কালাজ্বর রোগীকে সুস্থ করার বিবরণ সহ । তিনি তাঁর গবেষণা পত্রে ওষুধটির বিষাক্ততা সম্পর্কে আলোচনা করলেন ।১৯২৩ সালের জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে ইউরিয়া স্টিবামাইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশিত হল । ১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে উপেন্দ্রনাথ আরো কিছু তথ্য প্রকাশ করলেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে । কালাজ্বর কমিশন (১৯৩২) এর মেজর শর্টের অভিজ্ঞতায় ইউরিয়া স্টিবামাইন খুব নিরাপদ এবং বিশ্বাসযোগ্য ওষুধ । এই ওষুধ ব্যবহার করে ৩.২৫ লক্ষ রোগীকে সারানো সম্ভব হয়েছে । কালাজ্বর ছাড়াও উপেন্দ্রনাথ ফাইলেরিয়া,ডায়াবেটিস, কুষ্ঠ, মেনিনজাইটিস প্রভৃতি নিয়েও গবেষণা করেছিলেন ।
চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্বন্ধে রচনাবলীর মধ্যে ট্রিটিজ অন কালাজ্বর বিখ্যাত । ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভ্য, ইন্দোরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের (১৯৩৬) সভাপতি এবং নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । তিনি ব্রহ্মচারী রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করে দেশী ওষুধ প্রস্তুত করেন ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে গ্রিফিথ মেমোরিয়াল পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল । স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন তাঁকে মিন্টো পদক দিয়েছিল । এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল তাঁকে স্যার উইলিয়াম জোনস পদকে সম্মানিত করেছিল । এছাড়াও তিনি কাইজার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন । ব্রিটিশ সরকার তাঁকে রায়বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেছিল ।১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে উপেন্দ্রনাথ ব্র্হ্মচারী নাইট উপাধি পান । ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল ।
বিজ্ঞানের আলো হাতে চলা এই মহতীকে জানাই সশ্রদ্ধ প্রণাম।
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
» Baryta Carb
» পাঁচ সাতটি তুলসী পাতা
» একোনাইট,আর্সেনিক, রসটক্স
» আপনার রাশি কি দেখেনিন..
» এখন মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে কবি শফিকুল ইসলামের ''তবুও বৃষ্টি আসুক'' কাব্যগ্রন্থ...