Latest topics
এখন সময় ভাইরাল জ্বরের
Page 1 of 1 • Share •
এখন সময় ভাইরাল জ্বরের
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে একেক সময় একেক রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। এখন যেমন ফ্লু বা সাধারণ জ্বরের প্রকোপ বেশ বেড়ে গেছে। অজ্ঞতা বা স্বল্প জ্ঞানের কারণে আমরা অনেক সময় সাধারণ এ জ্বরে নানা ভোগান্তির শিকার হই। সাধারণ এই জ্বর বা ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে কী করতে হবে জানাচ্ছেন_ডা. সাকলায়েন রাসেল
ফ্লু ভাইরাস ঘটিত রোগ। এটি সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে হয়। তিন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, বি এবং সি ভাইরাস। এর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাস মানুষ ছাড়াও পাখি বা শূকরকে আক্রমণ করতে পারে। পাখি আক্রান্ত হলে তাকে বার্ড ফ্লু, শূকর আক্রান্ত হলে সোয়াইন ফ্লু বলে।
কেন জ্বর আসে
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। গরম বা ঠাণ্ডা সব ধরনের আবহাওয়ায় শরীরে এ তাপমাত্রা বজায় থাকে। এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্তিষ্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সেন্টারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সচরাচর তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০৮ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে এর মাত্রা আরো বাড়তে পারে।
উপসর্গ
জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসনালির প্রদাহের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণ তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হতে পারে। সচরাচর যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হলো_
* হঠাৎ তীব্র জ্বর অনুভূত হওয়া
* কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে
* মাথাব্যথা থাকে
* সারা শরীর ব্যথা করা
* গলা ব্যথা করা
* জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা হতে পারে
* শুকনা কাশি থাকে
* নাক দিয়ে পানি ঝরে
কিভাবে ছড়ায়
প্রধানত দুটি উপায়ে এটি ছড়াতে পারে। এক. আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কিংবা কাশি থেকে। দুই. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো স্থানে হাত দিয়ে ধরার পর সে হাত আবার মুখে দিলে।
কোনো ব্যক্তির দেহে এ রোগের জীবাণু প্রবেশের পর তার দেহে এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই তিনি অন্যের দেহে এ রোগ ছড়িয়ে দিতে পারেন। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তি রোগ হওয়ার পর সাত দিন পর্যন্ত এ রোগ ছড়াতে পারে।
জটিলতা
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে সাধারণ এ রোগটি নানা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন_ নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, মস্তিষ্কের প্রদাহ, হার্টের প্রদাহ ইত্যাদি। যারা অ্যাজমার রোগী তাদের ক্ষেত্রে অ্যাজমার তীব্রতা এ সময় বেড়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা
জ্বর হলে প্রায় ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিকের আশ্রয় নেওয়া হয়। অথচ এসব জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা খুবই নগণ্য। সাধারণত সাত দিনে জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ। এ ছাড়া লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। সর্দি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে। শরীর স্পঞ্জিং বা মুছে দিন। অর্থাৎ ট্যাপের পানিতে রুমাল বা গামছা বা টাওয়েল ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দিন। তবে কখনোই ফ্রিজের পানি বা বরফ পানি ব্যবহার করবেন না। রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় কমিয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন।
রোগ প্রতিরোধে করণীয়
প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে_
* হাঁচি-কাশির সময় নাক ও মুখে টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন এবং সঙ্গে সঙ্গে ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
* সব সময় আপনার হাত পরিষ্কার রাখুন এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। বিশেষ করে হাঁচি-কাশির পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোয়ার কাজে অ্যান্টিসেপটিক লোশনও ব্যবহার করতে পারেন।
* একান্ত প্রয়োজন না হলে হাত দিয়ে নাক, মুখ ধরা থেকে বিরত থাকুন।
* সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
* আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন।
* ভাইরাস থাকতে পারে এমন জায়গা হাত দিয়ে ধরবেন না।
* কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার উচিত ঘরের মধ্যে থাকা, যাতে এ রোগ ছড়াতে না পারে।
* প্রচুর পানি পান করুন।
বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লু
বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লু কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ ফ্লু থেকে এদের পার্থক্য হলো পশুপাখির দেহ থেকে শুরু হয়ে এ রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো কিছুটা জটিল আকার ধারণ করে। তবে আশার কথা হলো, এসব রোগ আমাদের দেশে কখনোই মহামারি আকারে দেখা দেয়নি। এসব জ্বরের চিকিৎসাও সহজ। সাধারণ ফ্লুর মতোই লক্ষণ অনুযায়ী এসব রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ফ্লু ভাইরাস ঘটিত রোগ। এটি সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস দিয়ে হয়। তিন ধরনের ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস থাকে। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, বি এবং সি ভাইরাস। এর মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা-এ ভাইরাস মানুষ ছাড়াও পাখি বা শূকরকে আক্রমণ করতে পারে। পাখি আক্রান্ত হলে তাকে বার্ড ফ্লু, শূকর আক্রান্ত হলে সোয়াইন ফ্লু বলে।
কেন জ্বর আসে
মানবদেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। গরম বা ঠাণ্ডা সব ধরনের আবহাওয়ায় শরীরে এ তাপমাত্রা বজায় থাকে। এ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্তিষ্ক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস মস্তিষ্কের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ সেন্টারের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সচরাচর তাপমাত্রা ১০০ থেকে ১০৮ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ক্ষেত্রবিশেষে এর মাত্রা আরো বাড়তে পারে।
উপসর্গ
জ্বরের পাশাপাশি শ্বাসনালির প্রদাহের কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। এসব লক্ষণ তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হতে পারে। সচরাচর যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায় তা হলো_
* হঠাৎ তীব্র জ্বর অনুভূত হওয়া
* কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে
* মাথাব্যথা থাকে
* সারা শরীর ব্যথা করা
* গলা ব্যথা করা
* জোড়ায় জোড়ায় ব্যথা হতে পারে
* শুকনা কাশি থাকে
* নাক দিয়ে পানি ঝরে
কিভাবে ছড়ায়
প্রধানত দুটি উপায়ে এটি ছড়াতে পারে। এক. আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি কিংবা কাশি থেকে। দুই. ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস আক্রান্ত কোনো স্থানে হাত দিয়ে ধরার পর সে হাত আবার মুখে দিলে।
কোনো ব্যক্তির দেহে এ রোগের জীবাণু প্রবেশের পর তার দেহে এর লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই তিনি অন্যের দেহে এ রোগ ছড়িয়ে দিতে পারেন। পাশাপাশি আক্রান্ত ব্যক্তি রোগ হওয়ার পর সাত দিন পর্যন্ত এ রোগ ছড়াতে পারে।
জটিলতা
সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে সাধারণ এ রোগটি নানা জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। যেমন_ নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস, মস্তিষ্কের প্রদাহ, হার্টের প্রদাহ ইত্যাদি। যারা অ্যাজমার রোগী তাদের ক্ষেত্রে অ্যাজমার তীব্রতা এ সময় বেড়ে যেতে পারে।
চিকিৎসা
জ্বর হলে প্রায় ক্ষেত্রেই অ্যান্টিবায়োটিকের আশ্রয় নেওয়া হয়। অথচ এসব জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের ভূমিকা খুবই নগণ্য। সাধারণত সাত দিনে জ্বর এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল ট্যাবলেট সবচেয়ে কার্যকর ওষুধ। এ ছাড়া লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হবে। সর্দি থাকলে অ্যান্টিহিস্টামিন ট্যাবলেট খেতে পারেন। রোগীকে প্রচুর পানি খেতে হবে। শরীর স্পঞ্জিং বা মুছে দিন। অর্থাৎ ট্যাপের পানিতে রুমাল বা গামছা বা টাওয়েল ভিজিয়ে পুরো শরীর মুছে দিন। তবে কখনোই ফ্রিজের পানি বা বরফ পানি ব্যবহার করবেন না। রোগীর গায়ের অতিরিক্ত কাপড় কমিয়ে ফেলুন। সম্ভব হলে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন।
রোগ প্রতিরোধে করণীয়
প্রতিরোধের জন্য নিম্নলিখিত ব্যবস্থাগুলো গ্রহণ করা যেতে পারে_
* হাঁচি-কাশির সময় নাক ও মুখে টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন এবং সঙ্গে সঙ্গে ডাস্টবিনে ফেলে দিন।
* সব সময় আপনার হাত পরিষ্কার রাখুন এবং সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। বিশেষ করে হাঁচি-কাশির পর অবশ্যই হাত ধুয়ে নিন। হাত ধোয়ার কাজে অ্যান্টিসেপটিক লোশনও ব্যবহার করতে পারেন।
* একান্ত প্রয়োজন না হলে হাত দিয়ে নাক, মুখ ধরা থেকে বিরত থাকুন।
* সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।
* আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে দূরে থাকুন।
* ভাইরাস থাকতে পারে এমন জায়গা হাত দিয়ে ধরবেন না।
* কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকলে তার উচিত ঘরের মধ্যে থাকা, যাতে এ রোগ ছড়াতে না পারে।
* প্রচুর পানি পান করুন।
বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লু
বার্ড ফ্লু বা সোয়াইন ফ্লু কিছুদিন আগেও আমাদের দেশে বেশ আতঙ্কের সৃষ্টি করেছিল। সাধারণ ফ্লু থেকে এদের পার্থক্য হলো পশুপাখির দেহ থেকে শুরু হয়ে এ রোগ মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে। কখনো কখনো কিছুটা জটিল আকার ধারণ করে। তবে আশার কথা হলো, এসব রোগ আমাদের দেশে কখনোই মহামারি আকারে দেখা দেয়নি। এসব জ্বরের চিকিৎসাও সহজ। সাধারণ ফ্লুর মতোই লক্ষণ অনুযায়ী এসব রোগের চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
Page 1 of 1
Permissions in this forum:
You cannot reply to topics in this forum
|
|
» Baryta Carb
» পাঁচ সাতটি তুলসী পাতা
» একোনাইট,আর্সেনিক, রসটক্স
» আপনার রাশি কি দেখেনিন..
» এখন মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে কবি শফিকুল ইসলামের ''তবুও বৃষ্টি আসুক'' কাব্যগ্রন্থ...